ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে নির্বাচনের ষড়যন্ত্র চলছে : খসরু

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জনগণকে বাইরে রেখে নির্বাচনের ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করতে করতে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ দুর্দশাগ্রস্থ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আন্দোলন আর নির্বাচন হাতে হাত রেখে চলবে। কোন অবস্থায় জনগণ আর একতরফা নির্বাচন হতে দিবে না।

মঙ্গলবার বিকেলে মুসলিম ইনটিস্টিশন হলে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসানের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। সভায় আমির খসরু বলেন, সরকার ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে আবারও ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া করছে। কিন্তু জনগণ তাদের অবস্থা বুঝতে পেরেছে। তিনি আরো বলেন, হাসান একজন ভদ্র, স্বজন ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তাঁর বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকায় নেতা কর্মীদের প্রেরণা যুগিয়েছে। কাজী হাসান আওয়ামী লীগের নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সবসময় রাজপথে সাহসিকতার সাথে দলের সকল কর্মসূচি পালন করেছিলেন। প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী বলেন, কাজী হাছানের মত নেতা যুগে যুগে একজন সৃষ্টি হয়। জীবনের শেষদিনটি পর্যন্ত তিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মরহুম কাজী আবদুল্লাহ আল্‌ হাসানের মৃত্যুতে শোককে শক্তিতে পরিণত করে নেতাকর্মীদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের মানুষ আজ এ সকারের কবল থেকে মুক্তি পেতে চায়। তিনি শোকসভায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার যে সমস্ত নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, এস এম সাইফুল আলম, এয়াছিন চৌধুরী লিটন ও কামরুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা আলহাজ এস এম মামুন মিয়া, কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দীন মজুমদার, বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, প্রফেসর এমডি কামাল উদ্দিন, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দীন, আবদুস ছালাম তালুকদার, জাহিদুল করিম কচি, এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, ইদ্রিস মিয়া, ইসহাক কাদের চৌধুরী, হাসান চৌধুরী, মীর্জা মোঃ আকবর, মো. আলী, এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, এড. এনামুল হক, ইকবাল চৌধুরী, নুরুল আমিন, মোঃ শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আনোয়ার হোসেন লিপু, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, শওকত আলী নূর, বদরুল খায়ের, অধ্যাপক মহসীন, ফিরোজ আহমদ, আজম আলী বাহাদুর, মহিউ্‌িদদন, মাঈনুদ্দীন মাহামুদ, এ কে. আনিসুর রহমান, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, হাজী মোঃ তৈয়ব, মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, জেসমিনা খানম, দিলরুবা শফি, নুরীয়ারা মাহফুজ প্রমুখ। খবর প্রেসবিজ্ঞপ্তির।

পাঠকের মতামত: